ইমরান আল মাহমুদ:
কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে র্যাব-১৫,কক্সবাজার জেলা পুলিশ ও এপিবিএন-৮ ও ১৪ এর যৌথ অভিযানে আরসার গ্রুপ কমান্ডারসহ সক্রিয় পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হলো ক্যাম্প-১৮ এর এল-৩ ব্লকের মৃত সোনা আলীর ছেলে ডা. রফিক (৫৪),এল-১১ ব্লকের অছির রহমানের ছেলে মোহাম্মদ রফিক(২০),ক্যাম্প-১২ এর এইচ-৭ ব্লকের মো. ইসলামের ছেলে মোহাম্মদ রফিক(২১),এইচ-১৩ ব্লকের রবিউল্লাহর ছেলে নুরুল আমিন(৩৪) ও ক্যাম্প-৫ এর ডি-৯ ব্লকের মৃত আব্দুল বাসেদের ছেলে খায়রুল আমিন(৩২)।
অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করেন র্যাব-১৫ সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার(ল এন্ড মিডিয়া) মো. আবু সালাম চৌধুরী। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি জানান,গত ২৮ জানুয়ারি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে র্যাব-১৫, এপিবিএন-৮ ও ১৪ এবং জেলা পুলিশের যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে গ্রেফতার ডা.রফিক এআরএসএ’র একজন সক্রিয় গ্রুপ কমান্ডার এবং এআরএসএ আহত সদস্যদের চিকিৎসা ও ওষুধ সরবরাহ করে থাকতে বলে জানা যায়। তাছাড়া গ্রেফতারকৃত ডা. রফিক ক্যাম্পে শাহাব উদ্দিন হত্যার অন্যতম প্রধান আসামি। তার বিরুদ্ধে উখিয়া থানার মামলা নং-০১(তারিখ-০১/১২/২০২২) । মোহাম্মদ রফিক এআরএসএ জিম্মাদার ক্বারী রফিকের তথ্যদাতা ও দেহরক্ষী হিসেবে কাজ করে এবং হত্যা মামলার এজাহারনামীয় আসামী। তার বিরুদ্ধে উখিয়া থানার মামলা নং-২২(তারিখঃ-০৭/১০/২০২২)। মোহাম্মদ রফিক এআরএসএ জিম্মাদার আলী জোহরের তথ্যদাতা হিসেবে কাজ করে। তার বিরুদ্ধে কক্সবাজার উখিয়া থানার মামলা নং-১৪, (তারিখঃ-০৫/১০/২০২২)। নুরুল আমিন এআরএসএ সদস্য ও তথ্যদাতা হিসেবে কাজ করে এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থার গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে। সে পুলিশ লাঞ্ছিত মামলার এজাহার নামীয় আসামী। তার বিরুদ্ধে কক্সবাজার উখিয়া থানায় মামলা রয়েছে। যার নং-১৪ (তারিখ -৫/১০/২০২২)। খায়রুল আমিন একজন সক্রিয় এআরএসএ সদস্য ও মো. হোসেন, মোঃ জোহর হত্যা মামলার আসামী। তার বিরুদ্ধে কক্সবাজার উখিয়া থানার মামলা নং-৯৬, (তারিখঃ-৩০/১০/২০২২)।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের পূর্বের মামলা মোতাবেক পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উখিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-